পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দোলের বঙ্গ-বিশ্ব দর্শন

 দোল কি কেবল রঙের খেলা, মিলন মেলা নয়! আবাল - বৃদ্ধ - বনিতা এদিন মেতে ওঠে লাল,নীল,হলুদ,সবুজের আনন্দে।আবীর ও তরল রঙ একে অপরের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। মন্দকে পিছনে রেখে শুভ আর কল্যাণকে সাথী করে এগিয়ে যেতে চায় বাঙালি ও অন্যান্য হিন্দুরা।কলকাতায় অবশ্য খ্রিস্টান ও মুসলিম ভাই,বোনদেরকেও সামিল হতে দেখা যায় এই উৎসবের উদযাপনে।রাধাকৃষ্ণের রূপকে নিজেদের জীবনের আনন্দকে আলিঙ্গন করে সকল বয়সের মানুষ।কোনও এক সময়ে ধর্মের মোড়কে মানুষের বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করে পরবর্তীতে ক্রমে বিশ্বমিলন যজ্ঞের দর্শনে ঠাঁই মিলেছে এই দেহ,মন রাঙানো উৎসবের। https://youtu.be/_n5I-qa8SiE?si=2g7xDAt7h6QgXxeV https://youtu.be/21kU5quVODE?si=tkn1u_DBSF1-n1cC ভক্ত প্রহ্লাদকে পূর্ব দিবসে তার পিসি হোলিকার কোলে বসে মৃত্যুতে ঢলে পড়ার হাত হতে রক্ষা করেন ভগবান।পরিবর্তে আগের দিন সাঁঝ বেলায় আনন্দের সঙ্গে খলনায়িকা হোলিকাকেই আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে বঙ্গে চলে ন্যাড়াপোড়া উৎসবের সমারোহ।আসলে নতুন বছর শুরু হওয়ার পূর্বেই পুরাতন কালিমাকে বিদায় দেবার রীতি এটি।নতুন উদ্যমে রঙের খেলায় মাতোয়ারা হয়ে সকলে মিলে একসাথে সুন্দর ও সত্যে ঘেরা আগামীর

জাগো সবলা !

 বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পারিবারিক চালিকা শক্তি বিশেষতঃ মেয়েরাই।তবু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরে আদব কায়দায় বেড়ে ওঠা অথবা আদিবাসী রমণীর ধমনী পর্যন্ত সমাজের যাবতীয় কলঙ্কিত বিষাক্ত মিথ্যে রসপ্রবাহের অসার প্রয়াস সমাজকে নিম্নাভিমুখী করেছে বারেবার।কিন্তু, কেন এই দ্বিচারিতা! সমাজের উন্নয়ন কামনা করি আমরা।অথচ, ছলে বলে কৌশলে নারীর পরিশ্রমের ছদ্মমূল্যকে গোপনে ঢেকে এগিয়ে চলবার উদ্যোগ চলেছে দিকে দিকে।উপরে উঠে নানান অভিমুখে গতিশীল হতে চায় সমাজ।আর তার সদস্যরা ভুলে বসে থাকেন_ এই সমাজ আসলে একটি পক্ষীর রূপক বৈ নয়। তার একটি ডানা পুরুষ আর অন্যটি নারী! শুধু পুরুষের উন্নয়ন ঘটলে আর  নারীকে বেধে রেখে দিলে সমাজ নামের পাখিটি তার স্বভাবজাত উড্ডয়নে সক্ষম তো হয় না; উপরন্তু পুরুষ নামক ডানাটিকে নিয়ে উড়তে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়,পাখিটির ওই ডানাটি সমাজ পক্ষীর দেহ হতে ছিন্ন হয়ে পাখিটি ( সমাজ ) খোঁড়া হয়ে পড়ে।এই পঙ্গু সমাজের ধ্বংস অনিবার্য!নারীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করবার এই ঔদ্ধত্য শুধু আজ নয়, যুগে যুগে সম্পাদিত ন্যক্কারজনক আচরণ। আজ হয়তো বিশ্বজুড়ে রমরমিয়ে উদযাপিত 113 তম আন্তর্জাতিক নারীদিবস।অথচ