উৎসর্গ: আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে। ভূমিকা: অনুভূতির তাড়নায় জেনেশুনে বিষ পানেও পিছ - পা হন না অনেক ভালোবাসার কাঙাল জন। Anthony Bourdain - এর ভাষার বাংলা তর্জমায়, " ভ্রমণ সব সময় আরামদায়ক হয় না। কখনও কখনও এটি ব্যথা দেয়,এমন কি এটি আপনার হৃদয় ভেঙে দেয়। কিন্তু এটি সঠিক,ভ্রমণ আপনাকে বদলে দেয়। এটি আপনার স্মৃতিতে, আপনার চেতনায়, আপনার হৃদয়ে ... চিহ্ন রেখে যায়..." ' চলতি পথে প্রিয়া'-র জীবনের চলার খন্ড, ক্ষুদ্র পথের অংশগুলিও অনেকানেক চড়াই - উৎরাই অতিক্রান্ত। পথটি পুরুলিয়া জেলার মাটির ন্যায় কাঁকরময়! সেখানে প্রিয়া যেন পথের পাঁচালীর অপু। এই অপু Oscar Wilde - এর নির্দেশের মান্যতা দেয়, ( বাংলা তর্জমায় " কোন অজুহাত ছাড়া জীবনে বাঁচুন, কোন অনুশোচনা ছাড়া ভ্রমণ করুন ..."। আর বাঁচতে গেলে সুন্দরভাবে বাঁচাই শ্রেয়। ' বোঝাপড়া ' য় রবি ঠাকুর বলেই গিয়েছেন, "... মরণ এলে হঠাৎ দেখি/ মরার চেয়ে বাঁচাই ভাল। " তাই পাথুরে ডাঙার পাথরের আতিশয্য ও পথ - কাঠিন্য , মোরগের যন্ত্রণাদায়ক লড়াই, জল - কষ্ট ও যাবতীয় প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যকৃত নানান সম...
শিরোনামঃ শ্রদ্ধাঞ্জলি " ওই শুনি যেন চরণধ্বনি রে..." __ বিশ্বকবির ভাষায় শ্রদ্ধাপূর্ণ আহ্বান জানাই দুখুমিঞার বীরত্বে ভরা প্রতিভাময় বঙ্গ প্রেমী সত্ত্বাকে। তিনিই আমাদের কাজী নজরুল।১৮৯৯ সালের ২৪ মে তারিখে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম।পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। অভাব - অনটন ছিল তাঁর আশৈশবের নিত্য সঙ্গী।নিজের অবস্থাকে সম্মান জ্ঞাপনের মহত্ব ও দর্শন তাঁর লেখায় চিত্রিত __ ' হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান ...'।শৈশব হতেই ছিলেন লেটো দলের বাদক।রুটির দোকানের শ্রমিকরূপে পেরিয়ে গেছে শৈশব আর কৈশোরের নিষ্পাপ বয়সগুলি।পরবর্তীতে কাজ করেছেন সৈনিক হিসেবে।সাংবাদিকতাও করেছেন দুখু মিঞা।কাজ করেছেন এইচ এম ভি ও কলকাতা বেতারে।ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছেন।পাশাপাশি সাহিত্য সাধনা আর গীতি সৃষ্টি তো ছিলই।শাসকের কো পানল অথবা কারারুদ্ধতা নত করতে পারেনি নজরুলের উচ্চ শির। বাংলা সাহিত্যে ' বিদ্রোহী কবি ' হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার,সাংবাদিক,চলচ্চিত্রকার...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন