বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পারিবারিক চালিকা শক্তি বিশেষতঃ মেয়েরাই।তবু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহুরে আদব কায়দায় বেড়ে ওঠা অথবা আদিবাসী রমণীর ধমনী পর্যন্ত সমাজের যাবতীয় কলঙ্কিত বিষাক্ত মিথ্যে রসপ্রবাহের অসার প্রয়াস সমাজকে নিম্নাভিমুখী করেছে বারেবার।কিন্তু, কেন এই দ্বিচারিতা! সমাজের উন্নয়ন কামনা করি আমরা।অথচ, ছলে বলে কৌশলে নারীর পরিশ্রমের ছদ্মমূল্যকে গোপনে ঢেকে এগিয়ে চলবার উদ্যোগ চলেছে দিকে দিকে।উপরে উঠে নানান অভিমুখে গতিশীল হতে চায় সমাজ।আর তার সদস্যরা ভুলে বসে থাকেন_ এই সমাজ আসলে একটি পক্ষীর রূপক বৈ নয়। তার একটি ডানা পুরুষ আর অন্যটি নারী! শুধু পুরুষের উন্নয়ন ঘটলে আর নারীকে বেধে রেখে দিলে সমাজ নামের পাখিটি তার স্বভাবজাত উড্ডয়নে সক্ষম তো হয় না; উপরন্তু পুরুষ নামক ডানাটিকে নিয়ে উড়তে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়,পাখিটির ওই ডানাটি সমাজ পক্ষীর দেহ হতে ছিন্ন হয়ে পাখিটি ( সমাজ ) খোঁড়া হয়ে পড়ে।এই পঙ্গু সমাজের ধ্বংস অনিবার্য!নারীর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করবার এই ঔদ্ধত্য শুধু আজ নয়, যুগে যুগে সম্পাদিত ন্যক্কারজনক আচরণ। আজ হয়তো বিশ্বজুড়ে রমরমিয়ে উদযাপিত 114 তম আন্তর্জাতিক নারী...
উৎসর্গ: আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে। ভূমিকা: অনুভূতির তাড়নায় জেনেশুনে বিষ পানেও পিছ - পা হন না অনেক ভালোবাসার কাঙাল জন। Anthony Bourdain - এর ভাষার বাংলা তর্জমায়, " ভ্রমণ সব সময় আরামদায়ক হয় না। কখনও কখনও এটি ব্যথা দেয়,এমন কি এটি আপনার হৃদয় ভেঙে দেয়। কিন্তু এটি সঠিক,ভ্রমণ আপনাকে বদলে দেয়। এটি আপনার স্মৃতিতে, আপনার চেতনায়, আপনার হৃদয়ে ... চিহ্ন রেখে যায়..." ' চলতি পথে প্রিয়া'-র জীবনের চলার খন্ড, ক্ষুদ্র পথের অংশগুলিও অনেকানেক চড়াই - উৎরাই অতিক্রান্ত। পথটি পুরুলিয়া জেলার মাটির ন্যায় কাঁকরময়! সেখানে প্রিয়া যেন পথের পাঁচালীর অপু। এই অপু Oscar Wilde - এর নির্দেশের মান্যতা দেয়, ( বাংলা তর্জমায় " কোন অজুহাত ছাড়া জীবনে বাঁচুন, কোন অনুশোচনা ছাড়া ভ্রমণ করুন ..."। আর বাঁচতে গেলে সুন্দরভাবে বাঁচাই শ্রেয়। ' বোঝাপড়া ' য় রবি ঠাকুর বলেই গিয়েছেন, "... মরণ এলে হঠাৎ দেখি/ মরার চেয়ে বাঁচাই ভাল। " তাই পাথুরে ডাঙার পাথরের আতিশয্য ও পথ - কাঠিন্য , মোরগের যন্ত্রণাদায়ক লড়াই, জল - কষ্ট ও যাবতীয় প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যকৃত নানান সম...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন